যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ : প্রিয় পাঠক, যক্ষ্মা হচ্ছে বায়ুবাহিত ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রামক ব্যাধি। এটি কিছুদিন আগেও মরণ ব্যাধি হিসেবে পরিচিত ছিলো। এটি সাধারনত মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকুলোসিস জীবাণুর সংক্রমণে হয়ে থাকে। এই জীবাণু মানব শরীরে যে কোনো অঙ্গেই সংক্রমিত হতে পারে। যক্ষ্মা ফুসফুসে বেশি আক্রমণ করে থাকে। শুধু মাত্র হৃৎপিণ্ড, ঐচ্ছিক পেশি, থাইরয়েড গ্রন্থি ও অগ্ন্যাশয় ছাড়া সকল অঙ্গই যক্ষ্মায় আক্রান্ত হতে পারে।আমাদের ধারাবাহিক আয়োজন টিপস্ এন্ড ট্রিকস এর আজকে পর্বে আলোচনা যক্ষ্মা রোগের লক্ষণ গুলো।
যক্ষ্মা রোগ অনেকের কাছে টিবি রোগ হিসেবে খুবই পরিচিত। অনেকেই এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। এইট সরাসরি ফুসফুসে আক্রমণ করে থাকে।দীর্ঘস্থায়ী, সংক্রামক ও প্রাচীন রোগটি যেকোনো বয়সে, যে কারো হতে পারে। কিন্তু এই যক্ষ্মা রোগটি আক্রান্ত ব্যক্তির কাছের লোকদের হওয়ার সম্ভবনা থাকে।
অতিরিক্ত বায়ু দূষণ, মানক গ্রহণ, বার্ধক্য জনিত কারণ ও অপুষ্টিতে ভোগার ফলে অনেক অংশে যক্ষ্মা রোগের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবণা থাকে। যারা বিভিন্ন রোগের আক্রান্ত তাদের এই যক্ষ্মা বা টিবি রোগ হতে পারে। এছাড়াও যাদের দেহে প্রতিরোধের ক্ষমতা কম, যেমন- এইডস রোগী, দীর্ঘ মেয়াদে স্টেরয়েড বা ইমিউনোথেরাপি ওষুধসেবীরাও যক্ষ্মার ঝুঁকিতে রয়েছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় রিপোর্ট অনুয়ারী সারা বিশ্বে প্রতিবছর ৯৬ লক্ষ সরাসরি যক্ষ্মা রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। উল্লেখ্য যে এখান থেকে প্রায় ১৫ লক্ষ রোগি মারা যায়। এছাড়াও উল্লেখ সংসক হারে বাংলাদেশে যক্ষ্মা রোগি বেডে চলছে।
১/ এক টানা ২০ দিন বা তিন সপ্তাহের বেশি শুকনো কাশি ও কফযুক্ত কাশি, কাশির সাথে রক্ত
টানা তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে কাশি- শুকনো কিংবা কফযুক্ত, কাশির সঙ্গে রক্ত যাওয়া, বুকে ব্যথা, ওজন হ্রাস, অবসাদ, অরুচি, সন্ধ্যায় বা রাতে হালকা কাঁপুনি দিয়ে জ্বর (৯৯-১০১ ডিগ্রি ফারেনহাইট) কিংবা রাতে ঘাম হলে অবশ্যই যক্ষ্মা সন্দেহ করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা উচিত।