ঘি খাওয়ার উপকারিতা : প্রিয় পাঠক,দুগ্ধজাত খাবার হচ্ছে ঘি। ঘি হচ্ছে অন্য দুগ্ধজাত খাবার গুলোর মধ্যে সবচেয়ে আভিজাত্যপূর্ণ ও দামি খাবার হিসেবে পরিচিত। প্রাকৃতিক উপাদান ও বহু পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার হচ্ছে ঘি। ঘি খাবার স্বাদ ও গুণাগুণ বহু অংশে বেড়ে যায়। সেই আদিকাল থেকেই ঘি বিভিন্ন খাবারে ব্যবহার হয়ে আসছে। ঘি বিভিন্ন ভাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। আমাদের ধারাবাহিক আয়াজনের আজকের পর্বে আলোচনা করা হবে দুগ্ধজাত খাবার ঘি এর ব্যবহার ও এর উপকারিতা নিয়ে।
গরু বা মহিষের দুধ থেকে তৈরি করা হয়ে থাকে ঘি। এই ঘি তে রয়েছে বিভিন্ন ধরণের পুষ্টি উপাদান শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে থাকে। অনেকেই এই ঘি এর পুষ্টিগুণ বিবেচনার এটিকে তরল সোনা হিসেবে বলে থাকে। আয়ুর্বেদ ওষুধ হিসেবে খাঁটি ঘি ব্যবহৃত হয়ে থাকে। ঘি কে সবচেয়ে স্বাস্থকর ফ্যাটি খাবার হিসেবে পরিচিত।
এই জনপ্রিয় খাবার ঘি বিভিন্ন পদ্ধতিতে তৈরি করা যায়। নিয়মিত ঘি খেলে ঘি তে থাকা চর্বি লিভারকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে থাকে। বিভিন্ন খাবারের সাথে এই খাওয়া যায়। অনুষ্ঠানের বিভিন্ন খাবারের স্বাদ বাড়ানোর জন্য ঘি এর ব্যবহার করা হয়ে থাকে। শরীরের হজমযোগ্য চর্বি শরীরের তাপ উপাদানের ভারাসম্য বাজায় রাখতে সাহায্য করে থাকে। বিভিন্ন ভাবে এই জনপ্রিয় খাবার ঘি খাওয়া যায়। কিন্তু সব রকম ভাবেই ঘি খাওয়া শরীরের জন্য উপকারি না। তাই সঠিক নিয়মে ঘি খেতে হবে। তা না হলে শরীরের লাভের চেয়ে ক্ষতি বেশি হওয়ার সম্ভবনা থেকে যাবে।
১/ ঘি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়ঃ– ঘি হচ্ছে খুুবই পুষ্টিকর খাবার। নিয়মিত ঘি খাওয়ার ফলে মানব দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বহু অংশে বেড়ে যায়। অিাবহাওয়া পরিবর্তনের সাতে সাথে আমাদের দেহেও বিভিন্ন রোগ বাসা বাধা থেকে রক্ষা করে ঘি। ঘি খেলে সহজেই রোগ জিবানু শরীরকে কাবু করতে পারে না। উচ্চ রক্তচাপের রোগিও এই ঘি খেতে পারেন। কারণ নিয়মিত ঘি খেলে রক্তের লিপিড প্রোফাইল কমে যায়। ফলে দেহ ভাল ও রোগ মুক্ত থাকে।
২/ চুল পড়া প্রতিরোধ ঘিঃ- ঘি যেমন মুখরেোচক খাবারে ব্যবহৃত তেমনি চুলের যত্নেও খুবই কার্যকরী। এটি মাথার ত্বকের খুশকি,চুল পড়া রোধ এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। এটি অবশ্যই অন্য একটি উপাদানের সাথে মাথার লাগাতে হবে। যাতে সহজেই মাথার চুল পরিষ্কার করা যায়।চুল পড়া রোধে প্রথমে একটি পানের সাথে ৪/৫ চামচ ঘি গরম করে নিন। সাথে কাজু বাদামের গুড়ো ও কাজু বাদামের তেল মিশিয়ে নিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে ফেলুনিএটি ৩০ মিনিট ভালোভাবে চুলে লাগিয়ে হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে চিুল পরিষ্কার করে নিন। এতে করে চুল পড়া বন্ধ হয়ে চুল আরো মজবুত হবে। এছাড়াও ঘি লেবুর রসের সাথে মিশিয়ে লাগিয়ে দিতে পারেন। এটিও চুল চকচকে করে তুলে। কাজু বাদামের তেলের সাথে ঘি মিশিয়ে চুলে দিলে খুশকি দূর হয়ে যায়। মাসে ২ বার চুলে ঘি লাগাতে পারেন পরে অবশ্যই আমলকীর রস বা পেয়াজের রস দিয়ে চুল পরিষ্কার করে দিতে হবে।এতে নতুন চুল গজাবে। এছাড়াও প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ঘি খেলে চুলের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এটি চুল পড়া প্রতিরোধ করে চুলকে কোমল ও উজ্জ্বল করে তুলে।
৩/হাড়ের যত্নে ঘিঃ- ঘি তে থাকা ভিটামিন কে ক্যালসিয়ামে সাথে মিশে হাড়কে সুস্থ্য গঠন বজায় রাখে। ঘি তে থাকা বিভিন্ন ধরণের ভিটামিন আমাদের হৃৎপিন্ড, হাড়ের জন্য খুবই কার্যকরী। নিয়মিত ঘি খাওয়ার ফলে হাড় খুবই ভালো রাখে।
৪/স্মৃতি শক্তি বাড়ায় ঘিঃ-নিয়মিত ঘি খাওয়ার ফলে স্মৃতি শক্তি বাড়ে। ঘি তে থাকা ওমানা-৩ ও ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শরীর এবং মস্তিষ্ককে কার্য ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
পাঠক, নিয়মিত ঘি খাওয়ার ফলে শরীরের উপযোগি কোলস্টেরল বাড়ায়। যায় পলে শরীরের ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। এটি শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমায় । ঘি হজম শক্তি বাড়িয়ে থাকে। গর্ভবতী মায়েদের জন্য ঘি খাওয়া খুবই দরকার।এটি ক্যান্সারের মত রোগতে প্রতিরোধ করে। চোখ সুস্থ্য রাখতে ঘি খাওয়া প্রয়োজন। এটি দৃষ্টিশক্তি উন্নতি ঘটায়। এটি শরীরের মারাত্বক সব রোগের ঝুঁকি কমায়। তাই আমাদের সুস্থ্য থাকতে নিয়মিত খাঁটি ঘি খেতে হবে। ধন্যবাদ