ঘরোয়া উপায়ে দ্রুত চিকন হওয়ার : মেদ কমানো আসলে খুব কঠিন কাজ নয়। একটু ইচ্ছে আর সামান্য ধৈর্য থাকলেই তা সম্ভব। আর একমাত্র তাহলেই হওয়া যায় মনের মতো ফিগারের অধিকারী। মেদ কমাতে পানি পান করার জুড়ি নেই। যে কোনো মানুষেরই দিনে কমপক্ষে দশ গ্লাস পানি পান করা উচিত। তবে যারা ওজন কমাতে চান, তাদের জন্য প্রয়োজন আরো বেশি পরিমাণ পানি পান করতে হবে। আমাদের ধারাবাহিক আজকে পর্বে আলোচনা করব ঘরোয়া উপায়ে দ্রুত সময়ের মাঝে শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে চিকন হওয়ার উপায়।
খাবার খাওয়া দিকেও খানিকটা নজর দিতে হবে। তবে তাই বলে পছন্দের খাবারগুলো সব বাদ দিতে হবে- এমন নয়। চর্বি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার কম এবংসে তুলনায় ফল এবং সবজি কিছুটা বেশিখেতে হবে।তবে মিষ্টিজাতীয় পানীয় একেবারে নয়! আপনার সকাল শুরু করুণ লেবুর শরবৎ দিয়ে ।পেটের চর্বি কমানোর জন্য এটি হচ্ছে সবচাইতে উপযোগী চিকিৎসা। কিছু পরিমাণ লেবু চিপে এর রস গ্লাসে নিয়ে তাতে সামান্য পরিমান গরম পানি ও লবন মিসিয়ে সকালে পান করুণ। এভাবে প্রতিদিন চালিয়ে যান ফলে আপনর বিপাক ক্রিয়া স্বাভাবিক হয়ে যাবে এবং মেদ কমেতে থাকবে।। ঘরোয়া পদ্ধতিতে মাত্র ১ মাসের কম সময়ের মাঝে চিকন হওয়ার উপায় জানাব আমরা।
১/ নিয়মিত পানি খেলে শরীরের ওজন কমেঃ-
শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমানোর জন্য পানি খাওয়ার বিকল্প নেই। প্রতিদিন নিয়ম করে সকালে ঘুম থেকে উঠার পর পানি পান ও খাবার খাওয়ার আগে হাফ লিটার পানি পান করতে হবে। এতে করে পানি পান করার ফলে পেট ভরে যাবে এবং কম খাবার আটবে পেটে, ফলে শরীরের ক্যালোরি কম যাবে পেটে। তাই প্রতিবার খাবার খাওয়ার এই নিয়ম ব্যবহার করতে হবে। তাই পানি পান করে ওজন কমানোর যায়।
২/ ফাইবার যুক্ত খাবার ওজন কমারঃ-
শরীরের ওজন কমানোর জন্য খাবারের সম্পর্ক খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পেট খালি থাকলে খাবার খেতে মন চাবে আর খাবার খেলে শরীরের ওজন বেড়ে যাবে। তাই শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে অবশ্যই ফাইবার যুক্ত খাবার খেতে হবে। ফাইবার যুক্ত খাবারের অন্যতম উৎস হচ্ছে লাল চাল বা ঢেকি ভাঙ্গা চাল। এই চালের ভাত পেটে অনেক ক্ষণ ভরা রথাকে তাই অতিরিক্ত খাবার গ্রহণের প্রয়োজন পড়ে না। তাই ফাইবার যুক্ত খাবার খেয়ে শরীরের ওজন কমানো যায়।
৩/ক্যালোরি যুক্ত খাবার কম খেলে ওজন কমেঃ
শরীরের ওজন ভিবিন্ন থরণের খাবার খাওয়ার ফলে বেড়ে যায়। লিকুইড ক্যালোরি খাওয়া অনেক অংশে কমিয়ে দিয়ে ওজন কমানো যায়। লিকুইড ক্যালোরি বলতে যা বুঝায় তা হলে তরল পানীর তথা, চা কফি, পেপসি, কোকাকোলা, কুক, বিভিন্ন ধরণের জুস। এগুলোকে আমরা সাদারণত খাবার হিসেবে ধরি না, খেতে মজা লাগে তাই সবাই খেয়ে থাকে। কিন্তু এই সব পানীর ভেরত অনেক পরিমাণ ক্যালোরি থাকে। তাই দ্রুত ওজন কমিয়ে চিকন হওয়ার জন্য এইসব লিকুইড ক্যালোরি খাওয়া কমিয়ে বা বাদ দিতে হবে। কারণ এক কাপ হট কফিতে ২০০ ক্যালোরি থাকে। বাট এই ২০০ ক্যালোরি খরচ করতে একজন লোকের ২ কিলো হাটতে হবে। এই এসব খাবার পরিহার বা কমিয়ে দিতে হবে।ওজন কমানোর জন্য অবশ্যই পরিমাণ মত খাবার খেতে হবে। অতিরিক্ত ক্যালোরি যুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে।
৪/ব্যায়াম চিকন হতে সাহায্য করেঃ-
শরীরের অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে স্মার্ট ও সুন্দর হতে ব্যায়ামের কোনো বিকল্প নেই। একজন মানুষ নিয়মিত ব্যায়াম করলে তার শরীরের চর্বি সমূহ কমতে থাকবে এবং শরীরের ওজনও কমে যাবে। তাই ওজন কমিয়ে চিকন ও স্মার্ট হতে ব্যায়াম করতে হবে।
৫/শাকসবজি ও ফলমুল খেলে ওজন কমেঃ-
ওজন কমানোর জন্য ভাত ও ক্যালোরি যুক্ত খাবার কম খেয়ে ফলমুল ও শাকসবজি নিয়মিত খেতে পারেন। সবুজ শাকসবজি ও ফলমুলে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম থাকে এবং এগুলো ফাইবার বেশি থাকার শরীরের ওজন বাড়ায় সম্ভবণা থাকে না সাথে শরীরের ওজন কমাতে সাহায্য করে এইসব। খাবার রান্নার ক্ষেত্রে তেল পরিহার বা খুবআ কম ব্যবহার করতে হবে।
উপরুক্ত আলোচনা হতে বলতে পারি ঘরোয়া উপায়ে ওজন কমানো খুবই সহজ। এই সহজ নিয়মগুলো অনুসারণ করে যে কেই সহজেই তার শরীরে ওজন কমিয়ে সুন্দর ও স্মার্ট হতে পারবে।